Fotma Alloy স্বাগতম!
পেজ_ব্যানার

খবর

চীনের টংস্টেন রড পরীক্ষা: হাইপারসনিক গতির গোপনীয়তা প্রকাশ করা

উত্তর-পশ্চিম গোবি মরুভূমিতে, একটি চীনা বৈজ্ঞানিক গবেষণা দল একটি চমকপ্রদ পরীক্ষা চালিয়েছে: 140 কিলোগ্রাম ওজনের একটি টংস্টেন অ্যালয় রড মাক 14 এর গতিতে মাটিতে আঘাত করেছিল, যা প্রায় 3 মিটার ব্যাসের একটি গর্ত রেখেছিল।

এই পরীক্ষাটি স্নায়ুযুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক প্রস্তাবিত মহাকাশ-ভিত্তিক অরবিটাল গতিগত অস্ত্রের ধারণার অপ্রতুলতাই প্রমাণ করে না, বরং হাইপারসনিক অস্ত্রের একটি নতুন প্রজন্মের গবেষণার দিক নির্দেশ করে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টার ওয়ার্স পরিকল্পনা একবার মহাকাশ থেকে মহাকাশ-ভিত্তিক অরবিটাল অস্ত্র উৎক্ষেপণের জন্য স্পেস শাটল, স্পেস স্টেশন বা এরোস্পেস প্লেন ব্যবহার করার প্রস্তাব করেছিল। তাদের মধ্যে, টংস্টেন রডগুলি তাদের উচ্চ গলনাঙ্ক, ক্ষয় প্রতিরোধ ক্ষমতা, উচ্চ ঘনত্ব এবং উচ্চ কঠোরতার কারণে প্রধান অস্ত্র হয়ে উঠেছে।

যখন টংস্টেন রডটি স্পেস স্টেশন থেকে পড়ে এবং শব্দের গতির 10 গুণে পৌঁছায়, তখন বাতাসের সাথে ঘর্ষণ দ্বারা সৃষ্ট উচ্চ তাপমাত্রা তার আকৃতি পরিবর্তন করতে পারে না, যার ফলে সর্বাধিক স্ট্রাইক ফোর্স অর্জন করা যায়।

বিজ্ঞান কল্পকাহিনী চলচ্চিত্রগুলিতে সাধারণত দেখা মহাকাশ-ভিত্তিক অস্ত্রগুলি অপ্রত্যাশিতভাবে চীনা বিজ্ঞানীরা সফলভাবে উপলব্ধি করেছিলেন। এটি কেবল প্রযুক্তির বিজয় নয়, জাতীয় আস্থার বহিঃপ্রকাশও।

পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে যে 140 কেজি টাংস্টেন রডটি 13.6 মাচ গতিতে মাটিতে আঘাত করার পরে, 3.2 মিটার গভীরতা এবং 4.7 মিটার ব্যাসার্ধের একটি গর্ত বাকি ছিল। এটি টংস্টেন রডের মহান ধ্বংসাত্মক শক্তি প্রমাণ করে।

"রড অফ গড" এর পরীক্ষার ফলাফল সত্য হলে, ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক বন্দুক এবং সাবঅরবিটাল বোমারের অস্তিত্ব আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ হবে।

এই পরীক্ষাটি শুধুমাত্র অস্ত্র গবেষণা ও উন্নয়নে চীনের শক্তি প্রদর্শন করেনি, বরং এটিও প্রমাণ করেছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একসময় যে সুপার অস্ত্র নিয়ে গর্ব করত আসলে তার অস্তিত্ব ছিল না।

চীনের হাইপারসনিক অস্ত্র গবেষণা ও উন্নয়ন বিশ্বের সামনের দিকে রয়েছে, যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখনও ধরার চেষ্টা করছে।

অনেক ক্ষেত্রে চীনকে ছাড়িয়ে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সুবিধা ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে। নৌবাহিনীর ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপল্ট, বিমানবাহী রণতরী বা সমন্বিত শক্তি ব্যবস্থাই হোক না কেন, চীন ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে।

যদিও চীনের এখনও কিছু বিষয়ে ফাঁক রয়েছে, তবে চীনের মুখোমুখি হওয়ার সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুবিধা আর স্পষ্ট নয়।


পোস্টের সময়: জানুয়ারি-14-2025